গোয়ালন্দের কৃষকের মুখে হাসি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সুগন্ধি বাংলামতি (ব্রি-৫০) ধানের আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছে তারা।
গোয়ালন্দের সুগন্ধি বাংলামতি বিভিন্ন ধানখেত ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুর রহমান প্রমুখ।
‘বাংলামতি’ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ৫০তম জাত। পাকিস্তানের উদ্ভাবিত বাসমতি ধানের চেয়ে উচ্চ মান সম্পন্ন ‘বাংলামতি’ বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত একটি ধানের জাত। ধানটির উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে হাইব্রিড না হয়েও এর ফলন প্রায় হাইব্রিড ধানের সমান। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে গোয়ালন্দের কৃষকরা এ ধানের আবাদ করে বেশ সফল হয়েছেন।
গোয়ালন্দ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ জাতটি আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে চাষযোগ্য। অন্যান্য প্রচলিত জাতগুলোর চেয়ে ফলন বেশি হয়। ধান পাকা ধরলে সুগন্ধি ছড়ায়। এ ধানের চাল বাসমতির মতো সুগন্ধি ও সুস্বাদু। তবে এখনও ব্যাপকভাবে চাষের সমপ্রসারণ হয়নি।
সূত্রমতে, মাঠপর্যায়ে গত বছর চাষ শুরু হওয়ার পর এবার দেশের ৫৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বাসমতি সমমানের সুগন্ধি বাংলামতি ধান চাষ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বাংলামতি (ব্রি-৫০) ধান হচ্ছে এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ধান জাতের মধ্যে সুপার ফাইন কোয়ালিটির অ্যারোমেটিক ধান। এই ধান বোরো মৌসুমের চাষ উপযোগী একমাত্র সুগন্ধি ধান।
সরেজমিনে ধান খেতে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি লম্বা ধান গাছের শীষে চিকন লম্বা ধান ফলেছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে সুবাস। খেত দেখলে মনে হয়, কে যেন পাটিতে বিছিয়ে দিয়েছে সোনার ধান।
গত বছর প্রথম পর্যায়ে বাংলামতি ধান চাষের অগ্রবর্তী উদ্যোক্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান (ছিদ্দিক) জানান, তিনি গতবার এক বিঘা জমিতে চাষ করে ২৫ মণ ধান পেয়েছিলেন। এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে বাংলামতি ধান চাষ করেছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে বাংলামতি ধান চাষ এ অঞ্চলের কৃষকের মনে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে। বাংলামতি ধানটি এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামীতে কৃষকদের এ জাতের ধান চাষে আগ্রহী করতে পারলে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।’
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর